আইপিএস(IPS) সম্পর্কে ধারনা।
আইপিএস কেনার আগে অবশ্যই এই বিষয়গুলো জানা প্রয়োজনঃ
আপনার বাড়ির প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি কত ক্যাপাসিটির মাল লাগাবেন বা ব্যাটারির ব্যাক আপ টাই বা কিভাবে ঠিক হয়। কিনে ফেললেন ৮০০ ভিএ আর ব্যাটারি ১৮০ এম্পিয়ার আওয়ার। হয়ে গেল। কিন্তু এ দিয়ে আপনি কি কি চালাতে পারবেন, আর কতক্ষণ ই বা চলবে এ জানাটাও আপনার জরুরী।
না এর জন্য কোন ইঞ্জিনিয়ারিং লাগে না। লাগে গুণ ভাগ করার ক্ষমতা। ব্যস। ওগুলোও এখন ক্যালকুলেটর এ হয়। তাহলে? আসুন দেখে নিই ব্যপারটা।
ইনভার্টার কি?
ইনভার্টার হল এমন একটি যন্ত্র যা ডিসি পাওয়ারকে এসি পাওয়ারে রূপান্তর করে।
এবার বলবেন এসি কি? ডিসি কি?
আপনার বাড়িতে ইলেকট্রিক কোম্পানি যে তার গুঁজে দিয়ে যায়, যা দিয়ে আপনার বাড়ির তামাম ফ্যান লাইট ইত্যাদি চলে ওটি এসি পাওয়ার।
আর ব্যাটারি থেকে যা বেরোয় সেটি হল ডিসি।
এখন কথা হল আপনার বাড়ির ফ্যান লাইট চলে ইলেকট্রিক কোম্পানি র দেওয়া এসি পাওয়ারে। এবার দেখা গেল লোডশেডিং হল। তখনই দরকার পড়ে ইনভার্টারের। আপনার ব্যাটারি থেকে বেরোচ্ছে ডিসি। এই ডিসি দিয়ে ত আপনার এসি ফ্যান লাইট চলবে না, তার জন্য এসিই লাগবে। এই ডিসি টাকে রূপান্তর এর কাজটা নিপুণ ভাবে করে আপনার ইনভার্টার।
ইনভার্টারের ক্যাপাসিটি কি?
তাহলে যেটা দাঁড়াল ইনভার্টার একটি যন্ত্র। এর রেটিং ভিএ(ভোল্ট এম্পিয়ার) তে হয়। এবার প্রশ্ন হল রেটিং কি?
ধরুন একটা ইঁটভাঁটায় একটা লোক দিনে ১০০ টা ইঁট বইতে পারে কোনরকম অসুস্থতা ছাড়াই। এইটা হল ওই লোকটার রেটিং। তেমনি কোন ইনভার্টারে লেখা আছে ৮০০ ভিএ, এর মানে সে ৮০০ ভিএ পর্যন্ত তার ক্ষমতা। ৮০০ ভিএ পর্যন্ত সে তার কোনপ্রকার শারীরিক অক্ষমতা ছাড়াই দিতে পারবে।
কি এবার আবার ভাবছেন ভিএ টা আবার কি বস্তু তাইতো?
ভিএ=ভোল্ট গুণিত এম্পিয়ার।
শুধু এটা জেনে রাখুন এটাকে অ্যাপারেন্ট পাওয়ার বলে।
আবার ওয়াটেজ ও কিন্তু পাওয়ার। একে এক্টিভ পাওয়ার বলে।
বাড়িতে দেখবেন বলে চল্লিশ ওয়াটের টিউব, সত্তর ওয়াটের ফ্যান। এই গুলোই কিন্তু আবার আপনার ইনভার্টার দিয়ে চলবে। তাহলে? কি ভাবছেন? এই ওয়াট আর ভিএ এর মধ্যে একটা সুমধুর সম্পর্ক আছে।
ওয়াট=ভিএ. x পাওয়ার ফ্যাক্টর।
পাওয়ার ফ্যাক্টর কে মোটামুটি ০.৮ ধরা হয়ে থাকে।
তাহলে একটা টিউব লাইটের ওয়াট ৪০। এটাকে ভিএ তে কনভার্ট করলে দাঁড়াবে
৪০=ভিএ x ০.৮
বা, ভিএ = ৪০/০.৮=৫০।
ব্যাটারি কি?
ব্যাটারি হল এমন একটি বস্তু যেখানে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর হয়।
ইনভার্টারে রিচার্জেবল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়।
আগে বলেছিলাম ব্যাটারি থেকে যেটা বেরোয় সেটা ডিসি।
ব্যাটারির ক্যাপাসিটি কি?
ব্যাটারির ক্যাপাসিটি হয় এম্পিয়ার আওয়ারে। একটা ব্যাটারির ক্যাপাসিটি ২০০ এম্পিয়ার আওয়ার মানে সেই ব্যাটারিটা ২ এম্পিয়ার কারেন্ট ১০০ ঘন্টা ধরে সাপ্লাই করতে পারবে। এম্পিয়ার x ঘন্টা। এম্পিয়ার যত বাড়বে, সাপ্লাই দেওয়ার টাইমটাও কমবে। দেখা গেল লোড হল ১০ এম্পিয়ার তাহলে সাপ্লাই দেবে (২০০÷১০)= ২০ ঘন্টা। ব্যাটারির ভোল্টেজ টা ফিক্সড থাকে। যেমন ১২ ভোল্টের ব্যাটারি। দোকানে কেনার সময় এই দুটো জিনিস কাজে লাগে এম্পিয়ার আওয়ার আর ভোল্টেজ।
তাহলে এবার আসি আপনি আপনার বাড়ির জন্য কিভাবে ইনভার্টার ও তার ব্যাটারির ক্যাপাসিটি ঠিক করবেন। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরে অনেক কিছুই থাকে এখন লাইট ফ্যান বাদেও। কম্পিউটার, ফ্রিজ এসি ইত্যাদি। এবার ঠিক করতে হবে আপনি কি কি চালাবেন। মনে রাখতে হবে যতটা কম সম্ভব লোড ইনভার্টারে দেব। ধরা যাক দুটো পাখা, দুটো টিউব লাইটই শুধু আপনি ইনভার্টারে দেবেন। তাহলে এবার আপনার কাজ লোড হিসাব করা।
২ টা পাখার জন্য লোড=৭০x২= ১৪০ ওয়াট।
২ টা টিউব লাইটের লোড=৪০x২= ৮০ ওয়াট।
তাহলে মোট= ২২০ ওয়াট। এই লোড টাকে আপনি চাইছেন কারেন্ট চলে গেলে এই জিনিস কটা যেন চলে।
এবার এই ওয়াট কে আপনাকে ভিএ তে কনভার্ট করতে হবে।
সূত্র টি আবার-
ভিএ=ওয়াট/০.৮
তাহলে ভিএ = ২২০/০.৮=২৭৫
তাহলে ইনভার্টারের ক্যাপাসিটি হওয়া উচিৎ ২৭৫ ভিএ।
আপনার উচিৎ হবে ইনভার্টারের ক্যাপাসিটিটা একটু বেশী করে নেওয়া। কারণ ক্যাপাসিটি টা যদি ২৭৫ স্থানে ৪০০ বা ৫০০ রাখলে ভবিষ্যতে অন্য কিছুও চালাতে পারবেন। তাছাড়া বাজারে ২৭৫ এর মালও পাবেন না। ২৭৫ এর বেশী বাজারে যা পাওয়া যাচ্ছে একটা পছন্দ করাটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু ২৭৫ রেখে দিলে ব্যাটারি সাপ্লাই করার ক্ষমতা রাখলেও আপনি সেই এক্সট্রা লোডটা চাপাতে পারবেন না।
এবার আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কতক্ষণ ব্যাক আপ চাইছেন। সেইটা ঠিক করবে আপনি কত এম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি কিনবেন। ধরা যাক আপনি চাইছেন কারেন্ট চলে গেলে ওই লোড গুলো আপনি ৫ ঘন্টা চালাতে চাইছেন।
এখানে একটা সুন্দর সূত্র আছে।
প্রথমে বলি আপনার ত ওই লোডটাকে ওয়াট থেকে ভিএ তে কনভার্ট করাই আছে।
(ব্যাটারি এম্পিয়ার আওয়ার x ব্যাটারি ভোল্টেজ x ইনভার্টার এফিসিয়েন্সি)=( ভিএ লোড x ব্যাক আপ টাইম)।
তাহলে ব্যাটারি এম্পিয়ার আওয়ার = ( ভিএ লোড x ব্যাক আপ টাইম)/( ব্যাটারি ভোল্টেজ x ইনভার্টার এফিসিয়েন্সি)
ইনভার্টার এফিসিয়েন্সিকে ০.৮৫ ধরুন।
ব্যাটারির ভোল্টেজ বাড়িতে যে ভোল্টের ব্যাটারি লাগাবেন তাই। মোটামুটি ১২ ভোল্টই হয়।
ব্যাক আপ টাইম আপনি চাইছেন ৫ ঘন্টা।
তাহলে ব্যাটারি এম্পিয়ার আওয়ার=(২৭৫ x ৫)/(১২ x ০.৮৫)
=১৪৩.২২ এম্পিয়ার আওয়ার।
তাহলে আপনাকে বাজার থেকে ১৫০ এম্পিয়ার আওয়ার এর ব্যাটারি কিনতে হবে যার ভোল্টেজ ১২।
এবার দেখা গেল ভবিষ্যৎ এ এক্সট্রা লোড চাপাবেন। মোটামুটি এক্সট্রা ৫০ ওয়াট। তাহলে আপনি কতক্ষণ ব্যাক আপ পাবেন। আপনার ইনভার্টার পারবে কি সেই লোড সাপ্লাই দিতে?
হ্যাঁ, আগে লোড ছিল ২২০ ওয়াট, এখন যোগ হল ৫০ তাহলে দাঁড়াল ২৭০ ওয়াট। ভিএ তে কনভার্ট করলে দাঁড়াচ্ছে ওয়াট/ পাওয়ার ফ্যাক্টর = ভিএ
২৭০/০.৮= ৩৩৭.৫
আপনি ইনভার্টার কিনেছিলেন ৪০০ ভিএ র। তাহলে আরামসে এই এক্সট্রা লোড ইনভার্টার দেবে। কিন্তু ব্যাক আপ টা কমে যাবে।
আবার সেই সূত্র
(ব্যাটারি এম্পিয়ার আওয়ার x ব্যাটারি ভোল্টেজ x ইনভার্টার এফিসিয়েন্সি)=( ভিএ লোড x ব্যাক আপ টাইম)।
বা, ব্যাক আপ টাইম= (ব্যাটারি এম্পিয়ার আওয়ার x ব্যাটারি ভোল্টেজ x ইনভার্টার এফিসিয়েন্সি)/( ভিএ লোড)
আপনি ব্যাটারি কিনেছিলেন ১৫০ এম্পিয়ার আওয়ার এর। ব্যাটারির ভোল্টেজ ১২।
ইনভার্টার এফিসিয়েন্সি ০.৮৫।
ভিএ লোড ক্যাল্কুলেট করেছেন আগে ৩৩৭.৫।
তাহলে ব্যাক আপ টাইম= (১৫০ x ১২ x ০.৮৫)/(৩৩৭.৫)
= ৪.৫৩ ঘন্টা।
আরো অনেক কিছু আছে সেগুলো লাগবে না। ব্যস এটুকুই। আশাকরি কাজ মিটবে।
IPS |
আপনার বাড়ির প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি কত ক্যাপাসিটির মাল লাগাবেন বা ব্যাটারির ব্যাক আপ টাই বা কিভাবে ঠিক হয়। কিনে ফেললেন ৮০০ ভিএ আর ব্যাটারি ১৮০ এম্পিয়ার আওয়ার। হয়ে গেল। কিন্তু এ দিয়ে আপনি কি কি চালাতে পারবেন, আর কতক্ষণ ই বা চলবে এ জানাটাও আপনার জরুরী।
না এর জন্য কোন ইঞ্জিনিয়ারিং লাগে না। লাগে গুণ ভাগ করার ক্ষমতা। ব্যস। ওগুলোও এখন ক্যালকুলেটর এ হয়। তাহলে? আসুন দেখে নিই ব্যপারটা।
ইনভার্টার কি?
ইনভার্টার হল এমন একটি যন্ত্র যা ডিসি পাওয়ারকে এসি পাওয়ারে রূপান্তর করে।
এবার বলবেন এসি কি? ডিসি কি?
আপনার বাড়িতে ইলেকট্রিক কোম্পানি যে তার গুঁজে দিয়ে যায়, যা দিয়ে আপনার বাড়ির তামাম ফ্যান লাইট ইত্যাদি চলে ওটি এসি পাওয়ার।
আর ব্যাটারি থেকে যা বেরোয় সেটি হল ডিসি।
এখন কথা হল আপনার বাড়ির ফ্যান লাইট চলে ইলেকট্রিক কোম্পানি র দেওয়া এসি পাওয়ারে। এবার দেখা গেল লোডশেডিং হল। তখনই দরকার পড়ে ইনভার্টারের। আপনার ব্যাটারি থেকে বেরোচ্ছে ডিসি। এই ডিসি দিয়ে ত আপনার এসি ফ্যান লাইট চলবে না, তার জন্য এসিই লাগবে। এই ডিসি টাকে রূপান্তর এর কাজটা নিপুণ ভাবে করে আপনার ইনভার্টার।
ইনভার্টারের ক্যাপাসিটি কি?
তাহলে যেটা দাঁড়াল ইনভার্টার একটি যন্ত্র। এর রেটিং ভিএ(ভোল্ট এম্পিয়ার) তে হয়। এবার প্রশ্ন হল রেটিং কি?
ধরুন একটা ইঁটভাঁটায় একটা লোক দিনে ১০০ টা ইঁট বইতে পারে কোনরকম অসুস্থতা ছাড়াই। এইটা হল ওই লোকটার রেটিং। তেমনি কোন ইনভার্টারে লেখা আছে ৮০০ ভিএ, এর মানে সে ৮০০ ভিএ পর্যন্ত তার ক্ষমতা। ৮০০ ভিএ পর্যন্ত সে তার কোনপ্রকার শারীরিক অক্ষমতা ছাড়াই দিতে পারবে।
কি এবার আবার ভাবছেন ভিএ টা আবার কি বস্তু তাইতো?
ভিএ=ভোল্ট গুণিত এম্পিয়ার।
শুধু এটা জেনে রাখুন এটাকে অ্যাপারেন্ট পাওয়ার বলে।
আবার ওয়াটেজ ও কিন্তু পাওয়ার। একে এক্টিভ পাওয়ার বলে।
বাড়িতে দেখবেন বলে চল্লিশ ওয়াটের টিউব, সত্তর ওয়াটের ফ্যান। এই গুলোই কিন্তু আবার আপনার ইনভার্টার দিয়ে চলবে। তাহলে? কি ভাবছেন? এই ওয়াট আর ভিএ এর মধ্যে একটা সুমধুর সম্পর্ক আছে।
ওয়াট=ভিএ. x পাওয়ার ফ্যাক্টর।
পাওয়ার ফ্যাক্টর কে মোটামুটি ০.৮ ধরা হয়ে থাকে।
তাহলে একটা টিউব লাইটের ওয়াট ৪০। এটাকে ভিএ তে কনভার্ট করলে দাঁড়াবে
৪০=ভিএ x ০.৮
বা, ভিএ = ৪০/০.৮=৫০।
ব্যাটারি কি?
ব্যাটারি হল এমন একটি বস্তু যেখানে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর হয়।
ইনভার্টারে রিচার্জেবল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়।
আগে বলেছিলাম ব্যাটারি থেকে যেটা বেরোয় সেটা ডিসি।
ব্যাটারির ক্যাপাসিটি কি?
ব্যাটারির ক্যাপাসিটি হয় এম্পিয়ার আওয়ারে। একটা ব্যাটারির ক্যাপাসিটি ২০০ এম্পিয়ার আওয়ার মানে সেই ব্যাটারিটা ২ এম্পিয়ার কারেন্ট ১০০ ঘন্টা ধরে সাপ্লাই করতে পারবে। এম্পিয়ার x ঘন্টা। এম্পিয়ার যত বাড়বে, সাপ্লাই দেওয়ার টাইমটাও কমবে। দেখা গেল লোড হল ১০ এম্পিয়ার তাহলে সাপ্লাই দেবে (২০০÷১০)= ২০ ঘন্টা। ব্যাটারির ভোল্টেজ টা ফিক্সড থাকে। যেমন ১২ ভোল্টের ব্যাটারি। দোকানে কেনার সময় এই দুটো জিনিস কাজে লাগে এম্পিয়ার আওয়ার আর ভোল্টেজ।
তাহলে এবার আসি আপনি আপনার বাড়ির জন্য কিভাবে ইনভার্টার ও তার ব্যাটারির ক্যাপাসিটি ঠিক করবেন। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরে অনেক কিছুই থাকে এখন লাইট ফ্যান বাদেও। কম্পিউটার, ফ্রিজ এসি ইত্যাদি। এবার ঠিক করতে হবে আপনি কি কি চালাবেন। মনে রাখতে হবে যতটা কম সম্ভব লোড ইনভার্টারে দেব। ধরা যাক দুটো পাখা, দুটো টিউব লাইটই শুধু আপনি ইনভার্টারে দেবেন। তাহলে এবার আপনার কাজ লোড হিসাব করা।
২ টা পাখার জন্য লোড=৭০x২= ১৪০ ওয়াট।
২ টা টিউব লাইটের লোড=৪০x২= ৮০ ওয়াট।
তাহলে মোট= ২২০ ওয়াট। এই লোড টাকে আপনি চাইছেন কারেন্ট চলে গেলে এই জিনিস কটা যেন চলে।
এবার এই ওয়াট কে আপনাকে ভিএ তে কনভার্ট করতে হবে।
সূত্র টি আবার-
ভিএ=ওয়াট/০.৮
তাহলে ভিএ = ২২০/০.৮=২৭৫
তাহলে ইনভার্টারের ক্যাপাসিটি হওয়া উচিৎ ২৭৫ ভিএ।
আপনার উচিৎ হবে ইনভার্টারের ক্যাপাসিটিটা একটু বেশী করে নেওয়া। কারণ ক্যাপাসিটি টা যদি ২৭৫ স্থানে ৪০০ বা ৫০০ রাখলে ভবিষ্যতে অন্য কিছুও চালাতে পারবেন। তাছাড়া বাজারে ২৭৫ এর মালও পাবেন না। ২৭৫ এর বেশী বাজারে যা পাওয়া যাচ্ছে একটা পছন্দ করাটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু ২৭৫ রেখে দিলে ব্যাটারি সাপ্লাই করার ক্ষমতা রাখলেও আপনি সেই এক্সট্রা লোডটা চাপাতে পারবেন না।
এবার আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কতক্ষণ ব্যাক আপ চাইছেন। সেইটা ঠিক করবে আপনি কত এম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি কিনবেন। ধরা যাক আপনি চাইছেন কারেন্ট চলে গেলে ওই লোড গুলো আপনি ৫ ঘন্টা চালাতে চাইছেন।
এখানে একটা সুন্দর সূত্র আছে।
প্রথমে বলি আপনার ত ওই লোডটাকে ওয়াট থেকে ভিএ তে কনভার্ট করাই আছে।
(ব্যাটারি এম্পিয়ার আওয়ার x ব্যাটারি ভোল্টেজ x ইনভার্টার এফিসিয়েন্সি)=( ভিএ লোড x ব্যাক আপ টাইম)।
তাহলে ব্যাটারি এম্পিয়ার আওয়ার = ( ভিএ লোড x ব্যাক আপ টাইম)/( ব্যাটারি ভোল্টেজ x ইনভার্টার এফিসিয়েন্সি)
ইনভার্টার এফিসিয়েন্সিকে ০.৮৫ ধরুন।
ব্যাটারির ভোল্টেজ বাড়িতে যে ভোল্টের ব্যাটারি লাগাবেন তাই। মোটামুটি ১২ ভোল্টই হয়।
ব্যাক আপ টাইম আপনি চাইছেন ৫ ঘন্টা।
তাহলে ব্যাটারি এম্পিয়ার আওয়ার=(২৭৫ x ৫)/(১২ x ০.৮৫)
=১৪৩.২২ এম্পিয়ার আওয়ার।
তাহলে আপনাকে বাজার থেকে ১৫০ এম্পিয়ার আওয়ার এর ব্যাটারি কিনতে হবে যার ভোল্টেজ ১২।
এবার দেখা গেল ভবিষ্যৎ এ এক্সট্রা লোড চাপাবেন। মোটামুটি এক্সট্রা ৫০ ওয়াট। তাহলে আপনি কতক্ষণ ব্যাক আপ পাবেন। আপনার ইনভার্টার পারবে কি সেই লোড সাপ্লাই দিতে?
হ্যাঁ, আগে লোড ছিল ২২০ ওয়াট, এখন যোগ হল ৫০ তাহলে দাঁড়াল ২৭০ ওয়াট। ভিএ তে কনভার্ট করলে দাঁড়াচ্ছে ওয়াট/ পাওয়ার ফ্যাক্টর = ভিএ
২৭০/০.৮= ৩৩৭.৫
আপনি ইনভার্টার কিনেছিলেন ৪০০ ভিএ র। তাহলে আরামসে এই এক্সট্রা লোড ইনভার্টার দেবে। কিন্তু ব্যাক আপ টা কমে যাবে।
আবার সেই সূত্র
(ব্যাটারি এম্পিয়ার আওয়ার x ব্যাটারি ভোল্টেজ x ইনভার্টার এফিসিয়েন্সি)=( ভিএ লোড x ব্যাক আপ টাইম)।
বা, ব্যাক আপ টাইম= (ব্যাটারি এম্পিয়ার আওয়ার x ব্যাটারি ভোল্টেজ x ইনভার্টার এফিসিয়েন্সি)/( ভিএ লোড)
আপনি ব্যাটারি কিনেছিলেন ১৫০ এম্পিয়ার আওয়ার এর। ব্যাটারির ভোল্টেজ ১২।
ইনভার্টার এফিসিয়েন্সি ০.৮৫।
ভিএ লোড ক্যাল্কুলেট করেছেন আগে ৩৩৭.৫।
তাহলে ব্যাক আপ টাইম= (১৫০ x ১২ x ০.৮৫)/(৩৩৭.৫)
= ৪.৫৩ ঘন্টা।
আরো অনেক কিছু আছে সেগুলো লাগবে না। ব্যস এটুকুই। আশাকরি কাজ মিটবে।
অসাধারণ বিশ্লেষণ 👍
ReplyDeleteধন্যবাদ
Deleteঅনেক জানলাম
ReplyDeleteধন্যবাদ
DeleteNice vai
ReplyDeleteআইপিএস এর মসফেট ফেটে যায় কেন
ReplyDeleteঅতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহ অথবা ওভার হিটের জন্য।
Deleteএকটা 650VA UPS দিয়ে ১০০ওয়াটের একটা লাইট কতোক্ষণ চালাতো পারবো
Delete২০টা কম্পিউটার ওহ ৪ টা ফ্যান ৩ ২ টা লাইট ওয়াই ফাই সিসি কেম্যরা কত পাওয়ার ব্যাটরী লাগবে ৫ ঘন্টার জন্য
ReplyDeleteজেনারেটর ব্যবহার করেন।
Deleteএকটি ৮০ ওয়াটের রেফ্রিজারেটর (HITACHI R-V420P8PB 375 Liter)চালাতে কত VA ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের প্রয়োজন হবে সবিনয়ে জানতে চাই।
ReplyDelete1000VA
Deleteজি, খুব ভাল লাগলো
ReplyDeleteধন্যবাদ
Deleteআমার ips এর ব্যাটারি ১২ভোল্ট ৮০ এম্পলিফায়ার, এখন আমি যদি ২০০ এম্পলিফায়ার ব্যাটারি ব্যবহার করতে চাই তাহলে কি ips এ কোন সমস্যা হবে?
ReplyDeleteকোন সমস্যা হবেনা বরং ব্যাকাপ টাইম বৃদ্ধি পাবে।
Deleteআমি কি আইপিএস এর লাইন দিয়ে মোবাইল ফোন চার্জ করতে পারব? এর ফলে কি মোবাইল ফোনের ব্যাটারি অথবা চার্জে কোন প্রবলেম হবে? জানালে উপকৃত হতাম ধন্যবাদ।
ReplyDeleteজি না সমস্যা হবেনা করতে পারবেন।
Deleteঅামার ডিজিটাল সিগনাল প্রসেসর ১০০০ ভিএ অাইপিএস। কারেন্ট চলে গেলে ৫ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাকঅাপ দেয়, কিন্তু রিচার্জের সময় ১ ঘন্টা পরেই স্ক্রীণে লেখা উঠে Excess Heating এবং এলার্ম দিতে থাকে, তখন চার্জার বন্ধ করে অাবার অন করলে ফুল চার্জ হয়। ১৫ / ২০ মিনিট ব্যাকঅাপ দিলে চার্জের সময় এ সমস্যা হয় না। অাইপিএস কিনেছি ৮ মাস অাগে। সমস্যা নির্ধারণ ও সমাধান দিল উপকৃত হব। অগ্রিম ধন্যবাদ
ReplyDeleteএকজন টেকনিশিয়ান কে দেখান প্রবলেম বিভিন্ন কারনে হতে পারে।
Deleteধন্যবাদ
Deleteভাই আমি আমার ওয়াইফাই এবং অনু তে ৭-৮ ঘন্টা
ReplyDeleteব্যাকাপ চাই, ২টা চার্জারই ১২ ভোল্টের সেক্ষেত্রে আমার ১২ ভোল্টের কত এম্পিয়ার এর ব্যাটারী প্রয়োজন হবে,দয়াকরে জানাবেন,,
এই জিনিসটা জানার জন্যে অনেক ট্রাই করেছি, আপনার লেখা থেকে খুব পরিষ্কারভাবে বুঝলাম৷ ধন্যবাদ আপনাকে
ReplyDeleteকিছু দিন পর ওয়াট এক থাকলেও ব্যাকআপ টাইম কমে যায় কেন
ReplyDeleteকিছুদিন পর ওয়াট এক থাকলেও ব্র্যাক আপ টাইম কমে যায় কেন
ReplyDeleteকোন ব্যন্ডের আইপিএস ভালো?
ReplyDeleteপাঁচটা ফ্যান, পাঁচটা লাইট, একটা কম্পিউটার 5 ঘণ্টার জন্য চালাতে চাই। তাতে কোন আইপিএস কিনতে হবে? এবং দাম কত হতে পারে?
ReplyDeleteএকটা ১২ ভোল্ট ২৯ প্লেট ব্যটারি কত এয়ম্পিয়ার আর এটা দিয়ে ৮০০ ভিএ আইপিএস সংষুক্ত করে
ReplyDelete২ টা ফ্যান ৪ট লাইট চালালে বেকাপ দিবে কত স।।
প্লিজ জানাবেন।
আমার মতো সামান্য বিজ্ঞান জানা লোকের আইপিএস কেনার জন্য এটুকু জ্ঞান পাওয়া অসাধারণ ঘটনা। লেখক সোজা বাংলায় চমৎকার লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ReplyDeleteঅসাধার,,,, কতোলিখা দেখেছি বাট আপনি স্বার্থক।
ReplyDelete১২ ভোল্ট ১০০ আম্পিয়ার ব্যটারিতে ইনভারটারে ১০০ ওয়াট লোড কতক্ষণ চলবে?
ReplyDeleteসাইন ওয়েভ আইপিএস কোন লোড ছাড়াই ডিসপ্লেতে দশ ওয়াট লোভ দেখাচ্ছে কি কারনে বুঝিয়ে বলেন একটু
ReplyDeleteস্যার ৫টা ফ্যান আর ৭/৮ টা লাইট ব্যবহার করলে কতো ভোল্টের আইপিএস আর কতো এম্পিয়ারের ব্যাটারি লাগবে একটু জানালে উপকৃত হবো
ReplyDelete১২টা কম্পিউটার ২টা ফ্যান৷ ব্যবহার করলে কত ভোল্টের আইপিএস আর কতো ভোল্টের ব্যাটারি লাগবে একটু জানালে উপকৃত হবো
ReplyDeleteঅসাধারণ লেখনী।ধন্যবাদ ভাই।
ReplyDeleteআমার বাসার আইপিএস ১১০০ভিএ, ব্যাটারি ২০০এম্পিয়ার। এটা কতক্ষণ যাবৎ ব্যাক আপ দিবে। রাতে হঠাৎ করেই লো ব্যাটারি সিগন্যাল দিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পাওয়ার অফ করে অন করলে আবার কিছুক্ষণ চলে
ReplyDelete